বগুড়ায় ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০১-০৩-২০২৫ ০৩:৪২:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০১-০৩-২০২৫ ০৩:৪২:২৫ অপরাহ্ন
প্রতীকী ছবি
বগুড়ার সদর উপজেলায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিচ্ছেদের পর প্রথম স্বামীকে বিয়ে করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মা-মেয়েকে হত্যা করেন দ্বিতীয় স্বামী রুবেল মিয়া। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে উপজেলার সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আনোয়ারা বেগম (৫৮) ও তাঁর মেয়ে ছকিনা বেগম (৩৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএম মঈনুদ্দিন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, ছকিনার প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। এরপর ছয় বছর আগে হাসনাপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। রুবেল মাদকাসক্ত এবং চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় ছকিনা তাঁকেও তালাক দেন। এরপর ছকিনা তাঁর মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসে আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এক বছর আগে রুবেলের অনুরোধে ছকিনা আবারও তাঁর সংসারে ফিরে যান। কিন্তু রুবেল তাঁর স্বভাব পরিবর্তন না করায় ছয় মাস আগে আবারও দুজনের বিচ্ছেদ হয়।
মা-মেয়ে সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় ২ শতাংশ জায়গা কিনে সেখানে টিনের ঘর তৈরি করে বসবাস করছিলেন। এক মাস আগে ছকিনা তাঁর প্রথম স্বামী বাদশা মিয়াকে বিয়ে করেন। বাদশা মিয়া তাঁর গ্রামের বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। রুবেল এ খবর জানতে পেরে ছকিনার ওপর ক্ষুব্ধ হন।
শুক্রবার গভীর রাতে রুবেল বাড়িতে গিয়ে ছকিনাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। এ সময় তাকে ছেড়ে দিয়ে প্রথম স্বামীকে বিয়ে করায় দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে সঙ্গে নিয়ে আসা রাম দা দিয়ে ছকিনাকে কোপানো শুরু করেন রুবেল। এ সময় আনোয়ারা বেগম মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁকেও কুপিয়ে পালিয়ে যান রুবেল।
পরে দুজনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত দেড়টার দিকে ছকিনা মারা যান। শনিবার (১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তাঁর ছকিনার মা আনোয়ারা বেগমের মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, দুইজনের মরদেহ শজিমেক মর্গে রাখা আছে। আত্মীয়-স্বজন এলে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স